রূপগঞ্জে ভাগ্নের দায়ের কোপে আপন মামাসহ গুরুতর আহত-৪,মামীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

রূপগঞ্জে ভাগ্নের দায়ের কোপে আপন মামাসহ গুরুতর আহত-৪

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ

 

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আপন ভাগ্নের দায়ের কোপে মামাসহ একই পরিবারের আরো ৪ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছে। শুধু তাই নয়, হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার পর তাতে বাঁধা দেয়ায় আপন মামীকে শ্লীলতাহানী ঘটিয়েছে বখাটে ভাগ্নেসহ আরো সহযোগীরা। ঘটনাটি ঘটেছে ২৭ মে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের মধূখালী গ্রামে।
ভুক্তভোগীর পরিবার বাদী শাহজাহান মিয়া ও রূপগঞ্জ থানায় প্রদেয় অভিযোগ পত্র সূত্রে জানা যায়, মধূখালী গ্রামের মৃত আয়েব আলীর ছেলে শফিউল্লাহ ও শাহজাহান মিয়াদের সঙ্গে তাদেরই আপন ভাগ্নে একই গ্রামের বাসিন্দা মমিন মিয়ার ছেলে হাবিব মিয়াসহ অন্যান্য ভাগ্নেদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরে ২৭ মে শুক্রবার দিবাগত রাতে কিছু বুঝে ওঠার আগে মামা শফিউল্লার বাড়িতে ভাগ্নে হাবিব ও তার পিতা মমিন উদ্দিনসহ সহযোগী সন্ত্রাসী মধূখালী এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে রিফাত, হুমাউন কবিরের ছেলে সিয়াম, দানিছের ছেলে নাদিম, আকবর আলীর ছেলে হোসেন আলী, মজিবুরের ছেলে বেলায়াত, বেদনের ছেলে ফাহিম, জুলহাসের ছেলে ইমন, মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে জাবির হোসেন বাবু, মজিবুরের ছেলে ইমন, রফিজুদ্দিন ওরফে তোতলার ছেলে ইয়াকুব, সাইদের ছেলে রোমান, মৃত নাজমুলের ছেলে তাজরিয়ানসহ অজ্ঞাত আরো ৩ থেকে ৪ জন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ সময় মামা শফিউল্লাহ ভাগ্নেকে বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা এলোপাতারি লাঠিপেটা করতে থাকে। এক পর্যায়ে শফিউল্লার স্ত্রী রিনা বেগম বাঁধা দিতে এলে তাকে প্রথমে শ্লীলতাহানী ঘটায়। পরে এতে আহত শফিউল্লাহ বাঁধা দিতে গেলে ভাগ্নে হাবিব তার হাতে থাকা রাম দা দিয়ে শফিউল্লাহর পিঠে ও মাথায় কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এতে তার মামা গুরুতর আহত হয়। এ সময় তাদের চিৎকারে পরিবারের অন্য লোকজন ও গ্রামবাসি এগিয়ে এলে হামলাকারীরা রিনা বেগমের গলায় থাকা গলায় থাকা স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে  ও ঘরে থাকা আসবাব ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। পরে আহত শফিউল্লাহকে উদ্ধার করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এ সময় নারীসহ পরিবারের আরো ২ সদস্য আহত হয়।
এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে মমিন মিয়া মুঠোফোনে জানান, তার মরহুম শশুর আয়েব আলীর জমি নিয়ে তার মেয়ে ও ছেলেদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। তাই তাদের মাঝে এমন ঘটনা ঘটে থাকে। এটা নতুন কিছু না।

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত চলছে। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আঁওতার নেয়া হবে।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন